অনেকে মনে করেন, ত্বকে যে কোনো প্রদাহ মানেই অ্যাকজিমা। কারও মতে অ্যাকজিমার জন্য দায়ী অ্যালার্জি। প্যামলজিস্টরা মনে করে এজন্য ত্বকে ছেঁড়া ছেঁড়া ভাব হওয়া চাই।
বৈশিষ্ট্য :
এক্ষেত্রে প্রথমে ত্বক লালাভ হয়, তারপর সেখানে একটু ফুলে ওঠে ও পরে ছোট ছোট গুটি বা ফোস্কা বেরোয়। ফোস্কা ফেটে গিয়ে রস ঝরতে পারে এবং জীবাণু দূষণের ফলে পুঁজ দেখা যায়। রোগীরা মনে করেন, চুলকিয়ে চুলকিয়ে চামড়া ছিঁড়ে ফেললে বুঝি আরাম পাওয়া যায়।
ভ্রান্ত ধারণা :
অনেকে একে দুরারোগ্য ব্যাধি মনে করেন। আসলে চিকিৎসায় অ্যাকজিমা নিরাময় হয়। এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগও নয়। তবে বংশে কারও হাঁপানি, বারবার হাঁচি, আমবাত ও আধ-কপালি বা মাইগ্রেনের ব্যথা থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এ সমস্যার পাশাপাশি অ্যাকজিমায় ভুগতে দেখা যায়। অ্যাকজিমা ও অ্যাজমায় একই সঙ্গে ভুগছে এমন রোগী বিরল নয়।
আরও জানুন ঃ গরমে ঘামাচির যন্ত্রণা
অ্যাটোপি অ্যাকজিমা :
ধুলোবালি, পোকা বা ফুলের রেণু থেকে অ্যালার্জিতে অনেকে ভোগেন। তারা হেফিভার বা হাঁপানির শিকার হন।
সেরোরিক ডার্মাটাইটিস :
এদের মাথার ত্বক, মুখ, কানের পেছন দিক, বুকের মাঝে, কুঁচকিতে এ সমস্যা দেখা যায়।
অনেক কারণে অ্যাকজিমা হতে পারে। কারণ বুঝে চিকিৎসা করলে এ থেকে নিরাময় সম্ভব।
ডা. দিদারুল আহসান ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা। দৈনিক যুগান্তর , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮