কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে কিডনি বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যায় এখন অনেকেই ভোগেন।
কিডনিতে পাথর জমার প্রাথমিক লক্ষণগুলি নির্ভর করে পাথর কিডনির কোথায় এবং কী ভাবে রয়েছে। কিডনিতে পাথরের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথরের আকার যদি খুব ছোট হয় তাহলে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও কোনো ধরনের ব্যথা অনুভূত হয়। তাই কিডনিতে যে পাথর জমেছে তা টেরও পাওয়া যায় না।
পাথর জমার কারণ :
কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ নিয়ে এখনো বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন।তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়।
১.বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হলে এবং এর জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হলে কিডনিতে পাথর জমতে পারে।
২.কম পানি খেলে কিংবা শরীরে পানির স্বল্পতা দেখা দিলেও এটা হতে পারে।
৩.শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
৪.অতিরিক্ত পরিমাণে দুধ,পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস এ সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ:
কিডনিতে পাথর জমা হলে তা বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে জানা যায়।
১. কিডনিতে পাথর জমলে প্রসাব রক্তবর্ণ আকার ধারন করতে পারে।
২. কিডনিতে পাথর হলে বমি বমি ভাব,অনেক সময় বমিও হতে পারে।
৩. এ ধরনের সমস্যায় কিডনির অবস্থানে (কোমরের পিছন দিকে) তীব্র ব্যথা হয়। তবে সাধারণত এটা খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি এড়াতে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
১. কিডনিতে পাথর জমা এড়াতে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
২. কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না। এ ধরনের প্রবণতা কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. এজন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে।
৪.দুধ,পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।
৫.বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।