আমাদের নাকে কয়েকটি হাড়, সামনে কচকচি হাড় বা কর্ডিটলেজ ও নাকের পর্দার সমন্বয়ে তৈরি। কখনও কখনও আঘাতজনিত কারণে নাকের বাহ্যিক গঠনে বৈসাদৃশ্য দেখা দিতে পারে। তখন নাকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং নাক এবড়ো-থেবড়ো হয়ে যায়।
যেমন মুষ্টিযোদ্ধাদের নাক প্রায়ই থেবড়ো থাকে। নাকের পর্দা যাদের বাঁকা থাকে তাদেরও নাকের বাহ্যিক কাঠামো কিছুটা আঁকাবাঁকা থাকে। এছাড়াও জন্মগত কারণ, নাকের ভেতর ইনফেকশন ও অপরিপক্ব হাতে নাকের বাঁকা হাড় সোজা করা থেকেও নাকের সৌন্দর্যহানি ঘটে।
এটি মুখাবয়বের সৌন্দর্যের ওপর প্রভাব ফেলে এবং আস্থার অভাব হতে পারে। নাক দিয়ে শ্বাস নেয়ার স্বাভাবিক কাজটিও এতে ব্যাঘাত ঘটে।
চিকিৎসা :
রাইনোপ্লাস্টি নামের প্লাস্টিক সার্জারি অপারেশনের মাধ্যমে নাকের বাহ্যিক কাঠামো ঠিক করা যায়। মনে রাখতে হবে নাকের বাহ্যিক কাঠামোর সমস্যার সঙ্গে নাকের ভেতরের পর্দার হাড়ের কাঠামোগত সমস্যাও জড়িত। এ দুটো অপারেশনকে একসঙ্গে সেন্টোরাইনোপ্লাস্টি বলা হয়।
নাকের বাইরের হাড় বেড়ে যাওয়া, নাকের হাড় উঁচু হয়ে যাওয়া, নাকের সামনের দিকটা পুরু থাকা বা নাকের হাড় বসে যাওয়া- এগুলো সবই সেন্টোরাইনোপ্লাস্টির মাধ্যমে ঠিক করে ফেলা সম্ভব। এ অপারেশন নাকের ভেতর দিয়ে করা হয়, তাই বাইরে কোনো দাগ থাকে না, যেহেতু এটি একটি প্লাস্টিক সার্জারি তাই নাকের বাহ্যিক কাঠামোর উন্নতিই এর উদ্দেশ্য।
অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমিন
নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
ইমপালস হাসপাতাল, তেজগাঁও ঢাকা।
দৈনিক যুগান্তর , ০৭ নভেম্বর ২০১৮