বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি হচ্ছে আবার আচমকাই তীব্র গরমে ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে ঘাম আর বৃষ্টি মিলিয়ে হঠাৎ করে সর্দি-জ্বর লেগে গেছে। এই সমস্যাটির ভুক্তভোগী হয়েছেন অনেকেই। আর বৃষ্টিতে ভিজে অফিসে এসির কনকনে ঠাণ্ডায় অসুস্থ হচ্ছেন আপনি।
আসুন জেনে নেই বৃষ্টিতে ভিজে ঠাণ্ডা লেগে গেলে কী করবেন?
চিকেন স্যুপ
চিকেন স্যুপ সর্দি-কাশির সমস্যায় খুব ভালো কাজে দেয়। গরম গরম চিকেন স্যুপ খেতেও ভালো লাগে আবার তা পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
ফল ও দই
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক হজমশক্তি বাড়ানোর সাথে সাথে বাড়ায় প্রতিরোধ ক্ষমতা। আপেল, লেবু, বাতাবিলেবু, আপেল সিডার ভিনেগার, কাঁচামরিচ রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এই ফলগুলোতে থাকা ভিটামিন সি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, আপনি তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
গরম পানি দিয়ে কুলি
গরম পানিতে সামান্য লবণ আর হলুদ দিয়ে কুলি করুন। কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল পানিতে মিশিয়ে নাক দিয়ে ধোঁয়া টেনে নিন। ধোঁয়া টেনে নেয়ার সময় মাথার উপর থেকে তোয়ালে দিয়ে নেবেন। এতে কফ তাড়াতাড়ি পাতলা হয়ে যাবে।
গোলমরিচ ও মধু
দুই কাপ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ অল্প থেঁতলে নেয়া গোলমরিচ দিয়ে ফোটান দশ মিনিট ধরে৷ তারপর এই পানিটা ছেঁকে নিয়ে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন৷ কাশি কমবে, বুকে সর্দি বসবে না৷
লেবু ও আদার
আধা ইঞ্চি মাপের আদা টুকরা করে কেটে নিন৷ সেটা গরম পানিতে ফোটাতে শুরু করুন৷ পাঁচ মিনিট পর নামিয়ে ছেঁকে নিন, তারপর একটা মাঝারি আকারের লেবুর রস আর এক বড় চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন৷
আদা-পুদিনা-মধু
এক ইঞ্চি মাপের আদা স্লাইস করে নিন৷ এক মুঠো পুদিনাপাতা ভালো করে ধুয়ে নিন৷ এক বোতল পরিমাণ পানির সাথে আদা আর পুদিনাপাতা মিশিয়ে একসঙ্গে ফুটাতে শুরু করুন। এক কাপের মতো পরিমাণ হলে গ্যাস বন্ধ করে আধা কাপ মধু মিশিয়ে নিন। একটু গরম থাকতে থাকতেই পান করুন। পুরোটা একেবারে খাওয়ার দরকার নেই কিন্তু যখনই খাবেন, তখন একটু গরম করে নেবেন। এতে আপনার কফটা পাতলা হয়ে যাবে।
দৈনিক যুগান্তর, ০৯ অগাস্ট ২০১৮