কাশি অস্বস্তিকর ও কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক রোগের পূর্বাভাস দিলেও কাশি প্রকৃতপক্ষে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। শ্বাসতন্ত্র থেকে শ্লেষ্মা সংক্রামক জীবাণুু ও অস্বস্তিকর পদার্থ বের করে দেয়া কাশির কাজ।
স্বল্পমেয়াদের কাশি :
ক থেকে দুই সপ্তাহের কাশিকে একিউট বা স্বল্পমেয়াদের কাশি বলে। এর প্রধান কারণ শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। শিশু বছরে দুই থেকে আটবার ভাইরাসজনিত এ সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে।
শ্লেষ্মা বিন্দুগুলো নাক ও সাইনাস থেকে ধীরে ধীরে গলার দিকে চলে এলেও কাশি হতে পারে। এতে প্রোস্টন্যাসাল ড্রিপ বলে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধের প্রয়োজন আছে কিনা জেনে নিন। তবে কাশির সঙ্গে যদি হাঁপানির টান ও কাশতে কাশতে ঘুম ভেঙে যায় তবে অতি শিগগির ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
দীর্ঘদিনের কাশি :
চার সপ্তাহের অধিক সময়কালের কাশির কারণ খুঁজে বের করতে হবে। কাশির সঙ্গে যদি বুকে শনশন শব্দ ও ছোট শ্বাস হয় তবে অ্যাজমার কারণে কাশি হচ্ছে ধরে নেয়া যায়। শিশুর অ্যাজমার প্রধান উপসর্গই হচ্ছে কাশি।
খেলাধুলা ও ঠাণ্ডা বাতাস কাশিকে আরও বাড়িয়ে দেয়, নাক বন্ধ, সর্দির সঙ্গে যদি কাশি থাকে তবে নাক ও সাইনাসের অসুখে কাশি হচ্ছে ধরে নেয়া যায়। সাইনাসে প্রদাহ থাকলে এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। পাকস্থলী ও খাদ্যনালির সংক্রমণ থেকে কাশি হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে বুক জ্বালা হয়। যদিও শিশুরা এ সমস্যাকে চিহ্নিত করতে পারে না। একে রিফ্লাক্স ভিজিও বলে। দীর্ঘস্থায়ী কাশির কারণ জেনে চিকিৎসা নেয়া জরুরি।
অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা। দৈনিক যুগান্তর , ১৫ জুলাই ২০১৮