শিশুর বমি প্রতিরোধে করণীয়

0
43
শিশুর বমি প্রতিরোধে করণীয়

বিভিন্ন কারণে শিশুরা বমি করতে পারে। বমির বেশির ভাগই হয় খাওয়ায় গোলমালের জন্য। তবে যে কারণেই হোক না কেন অবেহলা করা উচিত নয়।
নবজাতকের বমির জন্য আরো সচেতন হওয়া উচিত। কারণ-

প্রথম সপ্তাহের কারণ

নিওনেটাল গ্র্যাসট্রাইটস- যদি হওয়ার সময় মায়ের কিছু গিলে ফেলে, খাওয়ানোর গ-গোল, বেশি খাওয়ানো অথবা বাতাস ঢুকানো হলে। সঠিক নিয়মে দুধ না খাওয়ালে বা খাওয়ানোর সময় খেয়াল না করলে বাতাস ঢুকে যেতে পারে, সন্তান দুধ কম পেলে বা বেশি পেলে বা নিপলের কম অংশ পুরোপুরি মুখে না নিলে অথবা বোতলে খাওয়ানোর সময় বাতাস ঢুকতে পারে। অনেক সময় শিশু খেতে চাইলে মায়েরা জোর করে খাওয়ান এতেও বমি হতে পারে।

– খাবার পরিবর্তন হলেও বমি করতে পারে।
-যে খাবারে প্রথমবার বমি করে দ্বিতীয়বার দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে।
-ট্রাকিওইসোফেজিয়াল ফিস্টুলা, শ্বাসনালী ও গলবিলের মধ্যে যদি যোগাযোগ থাকে।
-কোনো কারণে ক্ষুদ্রান্ত্রে বাধাপ্রাপ্ত হলে।
-মস্তিষ্কের কোনো আঘাত শ্বাসকষ্ট, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও মস্তিষ্কের ঝিল্লির প্রদাহ।
-গ্যালাক টোসেমিয়া, ফিনাইল ফিটো নিউরিয়া।

প্রথম সপ্তাহের পর যদি থেকে যায়

-খাওয়ানোর গণ্ডগোল।
-খাবার উদগীরণ।
-পাকস্থলীর শেষ অংশ সরু হয়ে যাওয়া।
-অন্ত্র বাধাগ্রস্ত হওয়া।
-অ্যাপেন্ডিক্সে প্রদাহ।
-টিনসিলে প্রদাহ।

শিশু বড় হলে কৃমির জন্য বদ হজম হলে, ডায়রিয়া সাথে বমি করতে পারে। জন্ডিস, মূত্রনালীর প্রদাহ, পেটের কোনো অসুখ হলেও বাচ্চারা বমি করে। বমি যে কারণেই হোক ব্যাপারটি একটি দুঃসহনীয় ব্যাপার। শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বমির কারণে শরীর থেকে অনেক পানি এবং ইলেকট্রোলাইট বেরিয়ে যায় তাই রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে।
বমির সাথে সাথে খাবার স্যালাইন দিতে হবে যাতে পানি শূন্যতা না হয়। জোর করে খাওয়ালে পুনরায় বমি করতে পারে সেজন্য যেকোনো খাবার আস্তে আস্তে অল্প অল্প বার বার খাওয়াতে হবে। যদি তাতেও না কমে তবে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ দিতে হবে বমির কারণ নির্ণয় করে।

LEAVE A REPLY