ক্যান্সার প্রতিরোধী খাবার

0
44
আনারসটার্ম মুছে ফেলুন: আপেল আপেলটার্ম মুছে ফেলুন: এনজাইম এনজাইমটার্ম মুছে ফেলুন: এন্টি-অক্সিডেন্ট এন্টি-অক্সিডেন্টটার্ম মুছে ফেলুন: খাদ্য তালিকা খাদ্য তালিকাটার্ম মুছে ফেলুন: চা চাটার্ম মুছে ফেলুন: টমেটো টমেটোটার্ম মুছে ফেলুন: পালং শাক পালং শাকটার্ম মুছে ফেলুন: ফাইটোক্যামিকেল ‘আইসোফ্ল্যাভোন’ প্রস্টেট ফাইটোক্যামিকেল ‘আইসোফ্ল্যাভোন’ প্রস্টেটটার্ম মুছে ফেলুন: ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধ ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধটার্ম মুছে ফেলুন: ভিটামিন সি ভিটামিন সিটার্ম মুছে ফেলুন: রসুন রসুনটার্ম মুছে ফেলুন: সীম সীমটার্ম মুছে ফেলুন: স্তন স্তন
ক্যান্সার প্রতিরোধী খাবার

খাবার দাবারের ধরন, ব্যায়াম না করার অভ্যাস আর শরীরের বাড়তি ওজন শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ ক্ষেত্রে এসবই ক্যান্সারের কারণ। আবার সব ধরনের ক্যান্সারের প্রায় ৩০ শতাংশই খাবারের সাথে সম্পর্কযুক্ত। খাবারের ধরন ক্যান্সারের একটা রিস্ক ফ্যাক্টর। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।অতএব, খাবার হচ্ছে ক্যান্সারের পরিবর্তনযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টর। খাবারে বেশি বেশি ফলমূল, শাক-সবজি থাকলে কোন কোন ক্যান্সার ও ক্রনিক অসুখ কম হয়।এসব খাবারে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধী কিছু উপাদান।ক্যান্সার প্রতিরোধী কয়েকটি খাবারের উদাহরণ হচ্ছে:

টমেটো : টমেটোতে আছে প্রচুর লাইকোপিন নামক শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট।টমেটো সস্, টমেটো পেস্ট বা টমেটো ক্যাচাপ-লাইকোপিনের ঘন উৎস।লাইকোপিন পুরুষদের প্রস্টেট আর মহিলাদের জরায়ুর মুখ ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমাতে সহায়ক। এ ছাড়া বৃহদন্ত্র, মলাশয়, পাকস্থলি, গ্রাসনালী ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধেও টমেটো সহায়ক বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ।
গাজর, পাকা পেঁপে, মিষ্টি আলু, লাল শাক এগুলো শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট ‘বিটা ক্যারোটিনের’ গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এসব খাবার নিয়মিত খেলে অনেক ধরনের ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমে।

সীম : সীমের ফাইটোক্যামিকেল ‘আইসোফ্ল্যাভোন’ প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর বলে ধারণা করা হয়।

পালং শাক : সবুজ শাকের মধ্যে পালং শাক সেরা। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে লুটিন ও ভিটামিন ই।পালং শাকের এন্টি-অক্সিডেন্ট লিভার, ডিম্বাশয়, কোলন ও প্রস্টেটের ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।

রসুন : গ্রাসনালী, পাকস্থলি ও স্তনের ক্যান্সার কমাতে রসুন কার্যকর। রান্না করার মিনিট দশেক আগে কুচি কুচি করে কেটে রেখে দিলে রসুনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আনারস : ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। আনারস ভিটামিন সি-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।এ ছাড়া আনারসে আছে ‘ব্রোমেলেইন’ নামের এক এনজাইম। এটি স্তন ও ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

আপেল : আপেলে আছে ‘কোয়ার্সেটিন’ নামের এক এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা কমিয়ে দেয় পাকস্থলি ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা। এটি প্রস্টেট ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিও কমিয়ে দেয়।

চা : চায়ে আছে শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট ‘ইজিসিজি’।এটি পাকস্থলি, লিভার ও ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।কালো চায়ের চেয়ে সবুজ চাই বেশি ভালো। সবুজ চায়ে এন্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি। আমাদের হাতের কাছেই আছে প্রচুর ফলমূল ও শাক-সবজি।এসবের বিভিন্ন এন্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।স্বাস্থ্যকর দীর্ঘ জীবনের জন্য এবং ক্যান্সার প্রতিরোধের আশায় আমাদের  দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও শাকসবজি থাকা একান্ত আবশ্যক। আর চাও পান করা উচিৎ দৈনিক কয়েক কাপ।

অধ্যাপক ডা: মো: শহীদুল্লাহ্
বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ                                                                                  দৈনিক সংগ্রাম,২৪ জুলাই ২০১৮

LEAVE A REPLY