পরিষ্কার:
সোনা খুব নরম ধাতু, তাই সহজেই এটিতে দাগ পড়ে। নিয়মিত বিরতিতে গয়না পরিষ্কার করা উচিত। এতে প্রতিবার পরার সময় নতুন মনে হবে। গয়নার ওপরে পড়া দাগ মুছতে ভালো মানের ইরেজার ব্যবহার করা উচিত। সব ধরনের গয়না একই পদ্ধতিতে পরিষ্কার করা ঠিক নয়। পলিশ ও পরিচর্যার জন্য স্বর্ণকারের শরণাপন্ন হওয়া ভালো।
সংরক্ষণ:
একসঙ্গে বেশ কয়েকটি গয়না রাখা ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে একাধিক স্লটসংবলিত বড় বাক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। একসঙ্গে রাখলে একটির সঙ্গে আরেকটির ঘর্ষণে দাগ পড়তে পারে। আসল মুক্তোর গয়না সব সময় মসলিন কাপড়ে মুড়ে রাখতে হবে। গরমে এ ধরনের গয়না পরা থেকে বিরত থাকা ভালো। কারণ ঘামের স্পর্শে উজ্জ—লতা হারায় মুক্তোর গয়না।
কুন্দন জুয়েলারি:
পাথর বসানো বা গোল্ড প্লেটের গয়না সব সময় প্লাস্টিকের বাক্সে রাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে তুলা বা স্পঞ্জে মুড়ে রাখতে হবে। না হলে পাথরের রং নষ্ট হয়ে যায়। পাথর বসানো গয়নায় কোনো রকম রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না।
উচিত:
মেকআপ, লোশন, কসমেটিকস আর পারফিউম ব্যবহারের পর গয়না বা অলংকার পরা উচিত। এমারেল্ড নরম পাথরের হওয়ায় নাড়াচাড়া ও ব্যবহার সাবধানে করা উচিত।
অনুচিত:
বাসার কাজের সময় কোনো সূক্ষ্ম গয়না পরা ঠিক নয়। সাঁতার কাটা বা জিম করার সময়ও না। এ ছাড়া জেমস্টোন পাথরের কোনো গয়না উজ্জ—ল আলোতে পরা যাবে না। একবার রং জ—লে গেলে আর পরা যায় না। মনে রাখা ভালো, কখনো সাবান ও পানি দিয়ে গয়না ধোয়া উচিত নয়। অবশ্য হীরের গয়নার বিষয়টি আলাদা। তা ছাড়া গয়নার ওপর পারফিউম স্প্রে করাও ঠিক নয়। কালেরব কণ্ঠ , ২৮ জুলাই ২০১৮