টানা বসে কাজ নয়, দুই মিনিটের বিরতি নিন

0
31
ডায়াবেটিসটার্ম মুছে ফেলুন: হৃদ্রোগের ঝুঁকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিটার্ম মুছে ফেলুন: পিঠে ব্যথা পিঠে ব্যথাটার্ম মুছে ফেলুন: পায়ের বিভিন্ন জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধি নাড়ান পায়ের বিভিন্ন জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধি নাড়ানটার্ম মুছে ফেলুন: কুশল বিনিময় কুশল বিনিময়টার্ম মুছে ফেলুন: মুঠোফোন মুঠোফোনটার্ম মুছে ফেলুন: হাঁটাচলা করুন হাঁটাচলা করুনটার্ম মুছে ফেলুন: ঘাড় ব্যথা ঘাড় ব্যথা
টানা বসে কাজ নয়, দুই মিনিটের বিরতি নিন

একটানা বসে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজ করাটাই হয়তো আপনার জীবনপদ্ধতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবুও এর মাঝে একটু হাঁটাচলা করা প্রয়োজন।

একটানা বসে থাকার ফলে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আবার একটানা একই ভঙ্গিতে বসে থাকার ফলে ঘাড় বা পিঠে ব্যথাও হতে পারে। অথচ আজকের শিশুরাও আধুনিক প্রযুক্তিপণ্য হাতে নিয়ে বসে বসেই পার করে দিচ্ছে শৈশব।

গবেষণায় দেখা গেছে, যিনি প্রতিদিন একটানা বসে থাকেন, নিয়মিত ব্যায়াম করলেও তিনি বসে থাকার ফলে সৃষ্টি হওয়া সমস্যাগুলোর ঝুঁকি এড়াতে পারেন না। তাই ছুটির দিনগুলোতে শিশুকে বাইরে নিয়ে যান। দৌড়ঝাঁপ করে খেলুন ওর সঙ্গে। শিশুর স্কুলে খেলার সুযোগ রয়েছে কি না, খোঁজ নিন। বাইরে খেলতে উৎসাহ দিন।

আরও জানুনঃ বয়স্ক পুরুষদের কেন স্বামী হিসেবে পছন্দ করে নারীরা?

অফিসে কাজের পরিবেশ ও নিয়মকানুন হয়তো বদলে ফেলতে পারবেন না। পরিবর্তন আনুন নিজের মাঝে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু সময়ের জন্য হলেও চেয়ার ছেড়ে উঠুন। হাত ও পায়ের বিভিন্ন জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধি নাড়ান।

অফিসে ডেস্কে কাজের মাঝে দুই মিনিট সময় পেলে হয়তো ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন আপনি কিংবা মুঠোফোনটা হাতে নিয়ে থাকেন। এটা না করে বরং দুই মিনিটের এই খুদে বিরতিতেই চেয়ার ছেড়ে একটু হেঁটে আসুন। সহকর্মীর ডেস্কে গিয়ে কুশল বিনিময় করে আসুন। কিংবা জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ান। বসে হালকা পায়ের বিভিন্ন জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধি নাড়ান।

বাড়িতেও একই নিয়ম মেনে চলুন। কম্পিউটারে বা টেবিলে বসে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে সামান্য বিরতি নিয়ে হাঁটাচলা করুন। টেলিভিশন দেখার অভ্যাস কমিয়ে আনুন। কম্পিউটার, মুঠোফোনসহ সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীলতা কমান। বাড়ির বারান্দা কিংবা ছাদে একটু সময় কাটান।

  ডা. রাফিয়া আলম, স্কয়ার হাসপাতাল                                                                                        প্রথম আলো , ২২ জুলাই ২০১৮

LEAVE A REPLY