সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তুলসি গাছ অতিপবিত্র। প্রতিদিনের গৃহ দেবতার পূজোয় বা ভোগে তুলসি পাতা ব্যবহার করা হয়। তবে শুধু পুজার কাজেই নয় রোগ নিরাময়ে তকুলসি পাতার জুড়ি নেই।
আধুনিক চিকিৎসা আসার আগে প্রাকৃতিক ওষুধ গুলোতেই নির্ভর করতে হয়েছে মানুষকে। যে কোন অসুখে প্রকৃতি থেকে নানা উপাদান নিয়ে ওষুধ তৈরি করে খেতে হতো। সে সময় এসব ওষুধের কার্যকারিতা কেমন ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বোকামি।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রকৃতি থেকে যে সব উপাদান নিয়ে ওষুধ খাওয়া হতো তা ব্রেন সেলের জন্মহার বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করতো।ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতো খুব সহজেই। তাইতো সে সময়কার অনেক ওষুধই এখন আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে।
আসুন জেনে নেই তুলসি পাতা কেন খাবেন?
ঠাণ্ডা, কাশি
ঠাণ্ডা কাশি থেকে শুরু করে অনেক রোগেরই প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে তুলসি পাতা। আবার এই পাতা এবং পাতার রস দিয়েই তৈরি হচ্ছে হাজারো ওষুধ।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে বাস্তবিকই তুলসির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে তুলসি পাতা খাওয়া মাত্রই মস্তিষ্কের ভেতরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কগনিটিভ ফাংশনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
ব্রেন ডিজিজ
যাদের পরিবারে অ্যালঝাইমার্সের মতো ব্রেন ডিজিজের ইতিহাস রয়েছে, তারা নিয়মিত তুলসি পাতার রস খেতে ভুলবেন না যেন!
জ্বর ভালো করে
তুলসির জীবাণু নাশক, ছত্রাক নাশক ও ব্যাক্টেরিয়া নাশক ক্ষমতা আছে। তাই এটা জ্বর ভালো করতে পারে। সাধারণ জ্বর থেকে ম্যালেরিয়ার জ্বর পর্যন্ত ভালো করতে পারে তুলসি পাতা।
মুখের ঘা দূর করতে
তুলসি পাতা মুখের আলসার ভালো করতে পারে। মুখের ঘা শুকাতেও তুলসিপাতা ভালো কাজ করে। মুখের ইনফেকশন দূর করতে তুলসিপাতা অতুলনীয়। প্রতিদিন কিছু পাতা (দিনে দুবার) নিয়মিত চিবালে মুখের সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে।
চর্মরোগ
চর্মরোগে তুলসি পাতার রস উপকারী। দাউদ এবং অন্যান্য চুলকানিতে তুলসিপাতার রস মালিশ করলে ফল পাওয়া যায়। ন্যাচার অ্যাথিতে শ্বেতীরোগের চিকিৎসায় তুলসিপাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।