ফিটনেসের মূল রহস্য যোগ ব্যায়াম!

0
87

ফুটবলে মৌলিক অনুশীলন আগে যা ছিল, এখনো তা-ই আছে। ভবিষ্যতেও তা পরিবর্তন হবে না। হয়তো ধরনে পরিবর্তন এসেছে; কিন্তু মূল অনুশীলন একই রয়েছে। পাসিং অনুশীলন, ফিনিশিং, বল ধরে রাখার বিষয়—সব আগের মতোই। কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আবার এটা অনেকের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপরও নির্ভর করে। কেউ হয়তো ম্যাচের আগের রাতে ‘আইস বাথ’ করে, কেউ আগেভাগে ঘুমিয়ে পড়ে, কেউ আবার রাত জেগে কম্পিউটার গেমসও খেলে। যে যেভাবে স্বস্তি বোধ করে সেভাবেই এসব ব্যক্তিগত পছন্দের অনুশীলন করে। তাই বলা যায়, মাঠের অনুশীলনে কোনো পরিবর্তন না এলেও মাঠের বাইরের অনুশীলন পদ্ধতি এবং কৌশলে কিছুটা হয়তো পরিবর্তন আসছে।

আজকাল তো ফিটনেসের ওপর এতটাই জোর দেওয়া হয়েছে যে বড় বড় ক্লাবে ফিজিও নিয়োগ করা হয়েছে। অনেক খেলোয়াড় শুরু করেছেন যোগ ব্যায়াম। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রায়ান গিগস তো অনুশীলনে রীতিমতো যোগ ব্যায়াম করতেন। শুধু গিগস একা নন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অনেক খেলোয়াড়ই আজকাল যোগ ব্যায়ামে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। অথচ বছর দশেক আগে তো খেলোয়াড়দের কাছে যোগ ব্যায়াম ছিল হাসির উপলক্ষমাত্র। অনেক খেলোয়াড় এটাকে সময়ের অপচয়ও মনে করতেন। কেননা এ ব্যায়ামের ফলে বল যেমন প্রতিপক্ষের জালে পাঠাতে কোনো সাহায্য করে না, তেমনি জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতেও নয়। এমনকি সতীর্থদেরও বল পাস দেওয়ার ক্ষেত্রে এটা কোনো কাজে আসে না। এসব কারণে ফুটবল খেলোয়াড়রা যোগ ব্যায়ামকে একটু ভিন্ন দৃষ্টিতেই দেখতেন ও সময়ের অপচয়ই মনে করতেন।

কিন্তু যখন এটা শুরু করা হয়, তখনই এর উপকারিতা অনুভব করা যায়। কিছুদিনের যোগ ব্যায়ামে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করা যায়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত যোগ ব্যায়ামে শরীরে এতটাই স্বাচ্ছন্দ্য ভাব আসে যে সাধারণ ব্যায়ামে ওই পর্যায়ে কখনো যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রায়ান গিগস শুধু যে যোগ ব্যায়াম করেন তা-ই নয়, অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য যোগ ব্যায়ামের সিডিও বের করেছেন। এ বয়সেও গিগসের এমন ফিটনেস—কারণ কি এই যোগ ব্যায়াম?

LEAVE A REPLY