শিশুকে কত বছর মায়ের দুধ খাওয়াবেন?

0
88

জন্মের পরে প্রথম ছয় মাস শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো খুবই জরুরি। প্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধ ছাড়া শিশুকে অন্যকিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।এ সময়ে মায়ের দুধ শিশুর সব চাহিদা পূরণ করে।

শিশুর ঠিক বিকাশ এবং মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য সন্তানের শক্ত খাবারের অভ্যাস তৈরি করা এবং দুই বছর বয়সের পরে বুকের দুধ পানের পরিবর্তে সাধারণ খাবারে অভ্যস্ত করে তোলাও জরুরি। সেটা কিন্তু অধিকাংশ মা-ই জানেন না।

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বুকের দুধ পানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মায়েদের বলা হয়। কিন্তু সেটার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।

শিশুর বিকাশে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মায়ের দুধের গুরুত্ব রয়েছে। তার পরে বিভিন্ন খাবারের থেকেই পুষ্টি সংগ্রহ করা শিখতে হবে। অনেকেই মনে করেন, মাতৃদুগ্ধ পর্যাপ্ত খেলেই পেট ভরে যাবে। কিন্তু বছর দুয়েক পরে ঠিকমতো সব রকমের খাবার না খেলে নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি দাঁতে সংক্রমণও হতে পারে।

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেডের গাইনি কনসালটেন্ট বেদৌরা শারমিন যুগান্তরকে বলেন, শিশুর জন্মের পর প্রথম ৬ মাস অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। এছাড়া ৬ মাসের পর থেকে ধীরে ধীরে শিশুকে পুষ্টিসম্মত বাড়তি খাবার দিতে হবে।

শিশুকে কত বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিশুদের জন্য মায়ের বুকের দুধ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ উপহার।তবে শিশুকে দেড় থেকে ২ বছরের বেশি বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।

এই গাইনি কনসালটেন্ট জানান, অনেকে শিশু ৫ বছর পর্যন্ত বুকের দুধপানে অভ্যস্ত থাকে। সেটা ঠিক নয়। শিশুর জন্মের পরে অনেক সময় মায়েদের হরমোনঘটিত সমস্যা হতে থাকে। আবার অনেকে গর্ভনিরোধক ওষুধও ব্যবহার করেন। যেগুলো তার হরমোনঘটিত পরিবর্তন ঘটায়। সেই ওষুধ ব্যবহারের সময়ে সন্তানকে স্তন্যপান করালে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিশুর দেহে দেখা দিতে পারে।

তার কথায়, মা কোনও ধরনের ওষুধ খেলে কিংবা সংক্রমণে আক্রান্ত হলে স্তন্যপানের মাধ্যমে শিশুর দেহে তা যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই দু’বছরের পরে বুকের দুধ পান করানো ঠিক নয়।

বছর দুয়েকের পরেও শিশু ভাত, ডালের মতো শক্ত খাবারের পরিবর্তে স্তন্যদুগ্ধেই অভ্যস্ত হলে রক্তসল্পতার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব।

LEAVE A REPLY