উফ! অসহ্য কোমর ব্যথা

0
32
টার্ম মুছে ফেলুন: কোমর ব্যথার কোমর ব্যথারটার্ম মুছে ফেলুন: প্রচলিত চিকিৎসা ও তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রচলিত চিকিৎসা ও তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটার্ম মুছে ফেলুন: গবেষণা গবেষণাটার্ম মুছে ফেলুন: শারীরিক অক্ষম শারীরিক অক্ষমটার্ম মুছে ফেলুন: অবৈজ্ঞানিক ভুল অবৈজ্ঞানিক ভুলটার্ম মুছে ফেলুন: ওষুধ ওষুধটার্ম মুছে ফেলুন: অস্থিসন্ধিতে এপিডিওরাল ইনজেকশন অস্থিসন্ধিতে এপিডিওরাল ইনজেকশনটার্ম মুছে ফেলুন: সাজারি সাজারিটার্ম মুছে ফেলুন: লেজার থেরাপি লেজার থেরাপিটার্ম মুছে ফেলুন: ট্রাকশন ট্রাকশনটার্ম মুছে ফেলুন: পেপটিক আলসার পেপটিক আলসারটার্ম মুছে ফেলুন: কিডনির সমস্যা কিডনির সমস্যাটার্ম মুছে ফেলুন: স্নায়বিক স্নায়বিক
উফ! অসহ্য কোমর ব্যথা

কোমর ব্যথা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে রয়েছে নানা ধরনের ভ্রান্ত ধারণা। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সব অবৈজ্ঞানিক ভুল চিকিৎসা। ফলে ব্যথায় ব্যথায় জর্জরিত হচ্ছেন মানুষ, কিন্তু আসল চিকিৎসা আর হচ্ছে না। গবেষণায় দেখা গেছে, সমগ্র বিশ্বে শারীরিক অক্ষমতার সব ভয়াবহ কারণের মধ্যে কোমর ব্যথা অন্যতম। সব জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এসব রোগীর আবার শতকরা ৯০ ভাগ ব্যথা ৮ সপ্তাহের মধ্যে কোনো চিকিৎসা ছাড়া কিংবা চিকিৎসা নিয়েও সেরে যাচ্ছে, আর শতকরা ৫ ভাগ রোগীর ব্যথা ১২ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যাচ্ছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ব্যথা সেরে যাওয়া রোগীর শতকরা ৭০ ভাগ ভবিষ্যতে পুনরায় কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কোমর ব্যথা সারা জীবনে শুধু একবারই হবে, এ রকম ধারণা করা সম্পূর্ণ ভুল। কোমর ব্যথা সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার মতোই ব্যাপার, ব্যথায় আক্রান্ত হলে ম্যানেজ করা শিখতে হবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কমে যাবে।

কোমর ব্যথার কারণ

শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে কোমর ব্যথার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। কোমর ব্যথার মারাত্মক কারণ যেমন ক্যান্সার, যক্ষ্মা, কডা ইকুউনা সিনড্রম, ইনফেকশাস ডিজিজেস খুবই নগণ্য। যদিও মেরুদণ্ডের ক্ষয়, স্পন্ডিলোসিস, ডিস্ক হানিয়েশন, স্পাইনাল ক্যানেল স্টেনোসিস- এসব কারণে ব্যথা হচ্ছে বলে ধারণা করা হয়, অথচ এ সমস্যাগুলোতে সাজারি বা লেজার করেও উপকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। চিকিৎসকরা রোগীদের ব্যথা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন না বলেই রোগীরা মনে করেন তাদের কোমরে হয়তো মারাত্মক কোনো সমস্যা আছে।

প্রচলিত চিকিৎসা ও তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :

সঠিক কারণ না জানার কারণে কোমর ব্যথা চিকিৎসায় যত ব্যবস্থায়ই নেওয়া হোক না কেন, দুর্ভাগ্যক্রমে এসব চিকিৎসার বেশিরভাগই ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এমনকি এসব চিকিৎসা নিয়েও ভালো হওয়ার পরিবর্তে খারাপ হওয়ার উদাহরণ আছে অগণিত। কোমর ব্যথা হলে অনেক ক্ষেত্রে শুধু সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামই কার্যকর চিকিৎসা। আবার অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি সঠিক ব্যায়ামের পরামর্শ না থাকায় ব্যথা আর ভালো হচ্ছে না।
গ্গ্নোবাল থেলথের মাসকুলোস্কেলিটাল বিভাগের নেতৃস্থানীয় চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্রিস মাহের বলেন, ‘চিকিৎসকরা কোমর ব্যথায় জন্য হরেক রকমের ব্যবস্থাপনা দিয়ে থাকেন। তার মধ্যে ব্যথা নিরাময়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত এনএসআইডি ধরনের ওষুধ, অস্থিসন্ধিতে এপিডিওরাল ইনজেকশন, সাজারি, লেজার থেরাপি, ট্রাকশন ও হিট থেরাপি অন্যতম। রোগের সঠিক কারণ জানা না থাকলে স্বপ্নকালীন সময়ে এগুলো কিছুটা কার্যকর হলেও দীর্ঘমেয়াদি এর কোনো কার্যকারিতা নেই। শুধু ব্যথার জন্য উচ্চমাত্রার এনএসআইডি, সেন্ট্রাল একটিং ওষুধ সেবনের ফলে রোগীদের পেপটিক আলসার, কিডনির সমস্যা, স্নায়বিক সমস্যাসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যা বেড়েই চলছে। এমনকি এপিডিওরাল স্টেরয়েড ইনজেকশনে উল্টো অস্থিক্ষয়ের মতো মারাত্মক সমস্যার ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। সার্জারিকে অনেক ক্ষেত্রে কোমর ব্যথার সর্বশেষ চিকিৎসা মনে করা হলেও এর কার্যকারিতা এখনও প্রশ্নমুখী।

কোমর ব্যথা প্রতিরোধ ও করণীয় :

কোমর ব্যথার সুনির্দিষ্ট পরিষ্কার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, তাই কোমর ব্যথা প্রতিরোধের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কোনো উপদেশ কিংবা নির্দেশনা প্রদান করা অসম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে-
১।কোমর ব্যথায় কেউ মারা যায় না কিন্তু ভুল চিকিৎসায় মারাত্মক ক্ষতি খুবই স্বাভাবিক। তাই যে কোনো চিকিৎসা নেওয়ার আগেই তার প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা এবং অপকারিতা ভালোভাবে জেনে নিন।
২।অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইমেইজিং বিশেষ করে এক্সরের কোনো ভূমিকা নেই।
৩।অযথা বিছানায় শুয়ে পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া অমূলক ধারণা।
৪।যতটা সম্ভব স্বাভবিক জীবনযাপন করতে হবে এবং সচল থাকতে হবে।.৫।সাধারণ ব্যথার ওষুধ সেবন করতে পারেন, কিন্তু লিভার বা কিডনির সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।

ডা. আবদুল্লাহ শাহরিয়ার
সহযোগী অধ্যাপক
শিশু কার্ডিওলজি বিভাগ, এনআইসিভিডি                                                                                              দৈনিক সমকাল ,৩০ অগাস্ট ২০১৮

LEAVE A REPLY