গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন

0
48
সাধারণত নাভির ওপরে পেটে ব্যথা হবেটার্ম মুছে ফেলুন: খালি পেটে কিনবা ভোররাতের দিকে ব্যথা তীব্র হয় খালি পেটে কিনবা ভোররাতের দিকে ব্যথা তীব্র হয়টার্ম মুছে ফেলুন: গলা-বুক-পেট জ্বলে গলা-বুক-পেট জ্বলেটার্ম মুছে ফেলুন: টক ঢেকুর ওঠে টক ঢেকুর ওঠেটার্ম মুছে ফেলুন: ঝাল-তেল-মসলাজাতীয় খাবারে ঝামেলা বেশি করে ঝাল-তেল-মসলাজাতীয় খাবারে ঝামেলা বেশি করেটার্ম মুছে ফেলুন: মশুরের ডাল খেলে সমস্যা বাড়ে মশুরের ডাল খেলে সমস্যা বাড়েটার্ম মুছে ফেলুন: ম্যাগনেসিয়ামের ম্যাগনেসিয়ামেরটার্ম মুছে ফেলুন: ভিটামিন ভিটামিনটার্ম মুছে ফেলুন: হাড় ক্ষয় হাড় ক্ষয়টার্ম মুছে ফেলুন: অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়া অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়াটার্ম মুছে ফেলুন: রোগজীবাণু প্রবেশের সক্ষমতা বেড়ে যাবে রোগজীবাণু প্রবেশের সক্ষমতা বেড়ে যাবেটার্ম মুছে ফেলুন: কিডনিতে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিডনিতে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন

একটা অ্যাড ছিল বেশকিছু দিন আগে। এক ভদ্রলোক শিঙাড়া খেল আর পেট ফুলে শার্টের বোতাম খুলে গেল! ব্যাপারটা কিন্তু কিছুটা বাস্তব। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে এই পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যাকে সাধারণ মানুষ গ্যাস্ট্রিক বলে।

গ্যাস্ট্রাইটিস কিংবা গ্যাস্টিক আলসার কি?

সাধারণত নাভির ওপরে পেটে ব্যথা হবে।

খালি পেটে কিনবা ভোররাতের দিকে ব্যথা তীব্র হয়।

গলা-বুক-পেট জ্বলে, টক ঢেকুর ওঠে।

ঝাল-তেল-মসলাজাতীয় খাবারে ঝামেলা বেশি করে।

আমাদের দেশে যে কোনো পেটে ব্যথা মানেই গ্যাস্ট্রিক। তাই যে কোনো কারণেই পেটের সমস্যা হোক না কেন Seclo/Loscetil/Maxpro/Sergel/Pantonix/Esotid/PPI/Nuprazol/Probitor ইত্যাদি খাও। আমার মনে হয় পুরো পৃথিবীতে এত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ অন্য কোনো দেশে খাওয়া হয় কিনা সন্দেহ আছে।

আমি দেখেছি, প্রস্রাবের ইনফেকশনের জন্য তলপেটে ব্যথা তার জন্য আন্টি আলসারেন্ট খাচ্চে!

যাই হোক শুরু করেছিলাম পেট ফোলা নিয়ে। আমাদের দেশে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ যে কারণে অপ্রয়োজনীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খায় সেই সম্যসা হচ্ছে:

একটু খাবার খেলে পেট ভরা ভরা লাগে, অস্বস্তি লাগে ক্ষুদা লাগে না। এক বেলা খেলেই মনে হয় ১ সপ্তাহের খাওয়া খেয়ে ফেলেছে। পেট ফুলে যায়। অনেকের তো ঢোল হয়ে যায়।

শব্দ করে ডেকুর হয়। গ্যাস বের হয় মুখ দিয়ে ও পায়ুপথ দিয়ে। অনেকের গ্যাস ওপরের দিকে চাপ দেয়; বুক ধড়ফড় করে ওঠে! এমনকি অনেকের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়!

দুধ কিনবা দুধের তৈরি খাবার (সেমাই, কাস্টার্ড, আইসক্রিম ইত্যাদি), আটা দিয়ে তৈরি খাবার (পরোটা, কেক, শিঙাড়া, পাউরুটি ইত্যাদি) আর মশুরের ডাল খেলে সমস্যা বাড়ে।

আসলে ওপরের কোনো লক্ষণই আমাদের ভাষায় প্রচলিত গ্যাস্ট্রিক না। এখানে পেটে গ্যাস তৈরি হয় বেশি। এসব ক্ষেত্রে Omeprazole, Esomeprazole, lansoprazole, Rabeprazole এর কোনো ভূমিকা নেই।

অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের কুফল?

যারা প্রয়োজন ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন তাদের ভবিষ্যতে আয়রন, ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়ামের অভাব দেখা দেবে। এমনকি হাড় ক্ষয়, অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা সেই সঙ্গে শরীরে কিছু রোগজীবাণু প্রবেশের সক্ষমতা বেড়ে যাবে। এমনকি কিডনিতে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নিজের রোগ সম্পর্কে জানুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ খাওয়া পরিহার করুন।

সুস্থ থাকুন।

লেখক: ডা. কামরুজ্জামান চৌধুরী, লেকচারার, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ

দৈনিক যুগান্তর , ১০ জুলাই ২০১৮

LEAVE A REPLY